রাজাপুরে স্কুলের জমি রক্ষার দাবিতে এলাকাবাসীর সংবাদ সম্মেলন
|
১১ আষাঢ় ১৪২৭ |
Thursday, June 25, 2020
নিউজ-বাংলাদেশ,রাজাপুর (ঝালকাঠি) : ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলা সদরের প্রানকেন্দ্রে অবস্থিত “রাজাপুর মডেল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়” নামে একটি স্কুলের সম্পত্তি রক্ষায় সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (২৪ জুন) দুপুরে উপজেলা সদরের মুক্তিযোদ্ধা সংসদ মিলনায়তনে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় অত্র বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ও বর্তমান শিক্ষার্থীদের পক্ষে ১১ দফা দাবি উপস্থাপন করে মো. আবুল হাসনাত আব্দুল্লাহ লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন।
সংবাদ সম্মেলনে জানা যায়, ১৯২৭ সালে রাজাপুর পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয়টি সুদীর্ঘ প্রায় ৯৪ বছর ধরে ঐতিহ্য ও গৌরবের সাথে শিক্ষা বিস্তারে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে। বিদ্যালয়টি প্রায় ৯ একর জমির ওপর প্রতিষ্ঠিত। বিভিন্ন সময় অবৈধ লীজ ও বেদখলের মাধ্যমে বিদ্যালয়ের জায়গা সংকুচিত হয়ে শিক্ষার পরিবেশ ও সৌন্দর্য ব্যাহত হচ্ছে। তাই বিদ্যালয়ের শিক্ষার পরিবেশ ও সৌন্দর্য ফিরিয়ে আনা ও বিদ্যালয়ের জমি রক্ষার দাবীতে ইতিমধ্যে বিদ্যালয়ের বর্তমান, প্রাক্তন শিক্ষার্থীরাসহ সর্বস্তরের জনতা গত ১৫ জুন মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন। বিদ্যালয়ের বিদ্যমান সংকট সমাধানে বিদ্যালয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে নিম্নোক্ত দাবী পেশ করা হয়।
দাবী গুলো হলো- বিদ্যালয়ের মূল ক্যাম্পাসের পিছনের উত্তর পার্শ্বের খাল পর্যন্ত জমিটি সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করে এডাডেমিক কার্যের উদ্দেশ্যে সংক্ষন করতে হবে। মাঠের পশ্চিম পার্শ্বে বিদ্যালয়ের বোডিং পুকুর সংলগ্ন ভোকেশনাল ক্যাম্পাস থেকে ক্রীড়া পরিষদের ভবন নির্মাণের অনুমতি বাতিল করে নির্মাণ সামগ্রী অনতিবিলম্বে অপসারন করতে হবে। ভোকেশনাল ক্যাম্পাসের পূর্বের একাডেমিক ভবন ভাড়া বাতিল করে একাডেমিক কার্যক্রম পুনরায় চালু সহ তৎসংলগ্ন জমি সুরক্ষায় সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করতে হবে।
বিদ্যালয়ের ঐতিহ্যবাহী খেলার মাঠের সংকোচন রোধ ও খেলার সুষ্ঠ পরিবেশ রক্ষার্থে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহন করতে হবে। বদ্ধভূমি সংলগ্ন বিদ্যালয়ের জমিতে বিদ্যমান লীজ ও অবৈধ হস্তান্তরকৃত স্থাপনা উচ্ছেদ করে সীমানা নির্ধারন ও বিদ্যালয়ের নাম সম্বলিত সাইনবোর্ড স্থাপন করতে হবে। আফসার আলী আকন শিক্ষক-ছাত্র মিলনায়তন এর ভাড়া বাতিল করে পুনরায় মিলনায়তনটি চালু করতে হবে। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের জন্য বরাদ্দকৃত বাসভবনের দক্ষিন পার্শ্বের থানা রোড পর্যন্ত পতিত জমিতে সীমানা নির্ধারন করে সাইনবোর্ড স্থাপন করতে হবে।
বিগত বছর থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত প্রদানকৃত সকল লীজ বাতিল করে উক্ত সম্পত্তি বিদ্যালয়ের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট কাজে ব্যবহার করতে হবে। বিদ্যালয়ের নিয়োগ প্রক্রিয়া ও পরিচালনা পর্ষদ গঠনসহ প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত ও কার্যক্রমে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে হবে। ঐতিহ্যবাহী বিদ্যালয়টিতে অধ্যয়নরত সহস্রার্ধেো শিক্ষার্থীর জন্য আবশ্যক প্যারেডগ্রাউন নিশ্চিত ও দীর্ঘ দিনের আলোচিত গ্রন্থাগার স্থাপন করতে হবে। ক্যাম্পাসের সম্মূখভাগ একাডেমিক পরিবেশ ও সৌন্দর্য বিনষ্ট করে এমন কোন উদ্যোগ, যেমন- স্টল নির্মাণ বা ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান নির্মাণ না করার স্থায়ী সিদ্ধান্ত গ্রহন করতে হবে।
দাবী গুলো নিষ্পত্তি করার জন্য বিদ্যালয় সংশ্লিষ্ট সকলকে অনুরোধ জানিয়ে আরো বলা হয়, মানববন্ধনে বেঁধে দেয়া আগামী ১৫ জুলাই এর মধ্যে কর্যকর ব্যবস্থা বাস্তবায়ন না করলে পরবর্তীতে বৃহত্তর প্রতিবাদী কর্মসূচী গ্রহনের কথাও বলেন। যার দায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকেই বহন করতে হবে